সদ্য প্রমোশন প্রাপ্ত মঞ্জুশ্রী দেবী এই বছর ৪৬ এর কোঠায় পা রাখলেন। দেখতে দেখতে কতগুলো বছর পেরিয়ে গেল তার এই নিসঙ্গ জীবনের। হ্যা, সত্যি তো নিঃসঙ্গ। জীবনের এতগুলো বছর কেটে জাওয়ার পর, এই ৪৬ এর কোঠায় পা দিয়ে যদি তার এই নিঃসঙ্গ জিননের চাওয়া পাওয়ার হিসেব করতে বসেন তিনি, তাহলে আস্ত এক্তা ইতিহাস হয়ে যাবে হয়ত, মনে মনে হেসে ওঠেন মঞ্জুশ্রী দেবী। স্মৃতি রোমন্থন করলে কতো কথাই না ভির করে আসে মনে- সেই ১৯ বছর বয়সি স্কুল পড়ুয়া মঞ্জুশ্রী প্রেমে পরেছিল তারই গৃহশিক্ষক কমলেন্দুর। কমলেন্দু তখন সদ্য কলেজ থেকে বেরিয়ে একটা বেসরকারি জুটমিলে কেরানিকের চাকরী জুটিয়েছে, আর মঞ্জুশ্রী তার প্রেম সাগরে হাবুডুবু খাচ্ছে। কিন্তু মঞ্জুশ্রীর বাড়ির লোক তা মেনে নেবে কেন? মঞ্জুশ্রী বড়লোক বাবার এক মাত্র মেয়ে আর কমলেন্দু সামান্য এক পেনশন প্রাপ্ত সরকারি চাকুরের ছেলে। কিন্তু কথায় বলে, প্রেম কোন বাঁধা মানেনা। আর এখেত্রেও তার বাতিক্রম হলনা। কমলেন্দু চাকরী পাওয়ার পরেই মঞ্জুশ্রীকে বিয়ের প্রস্তাব দিলেন আর মঞ্জুশ্রীও তাতে রাজী হয়ে কমলেন্দুর গলায় বরমালা পরালেন। বাপের বাড়ির সাথে সব সম্পর্ক চুকিয়ে তিনি কমলেন্দুকে অবলম্বন করে আলাদা সংসার পাতলেন। কিন্তু এখানেই ভুল করেছিলেন তিনি। প্রেম এক সুখময় অনুভুতি কিন্তু বাস্তব জীবন তার থেকে একেবারেই আলাদা। কমলেন্দুর সাথে প্রেম করার সময় মঞ্জুশ্রী একবারও পিছনে ঘুরে তাকাননি। কমলেন্দুর প্রেমে এততাই অন্ধ হয়ে গিয়েছিলেন তিনি, যে ভবিষ্যতের কথা একবারও ভাবেননি তিনি। বিয়ের থিক এক বছরের মাথাতেই গর্ভবতী হলেন মঞ্জুশ্রী, জন্ম নিল তাদের এক মাত্র ছেলের। আর ঠিক তখনই জুট মিলের চাকরীটা খোয়ালেন কমলেন্দু। শুরু হল অভাব অনটন, ঝগড়া ঝাটি, আর তাদের এতদিন এর প্রেম পালাবার পথ খুজতে লাগলো। এরপরেও মঞ্জুশ্রী অনেক চেষ্টা করেছিলেন কমলেন্দুর মন যুগিয়ে চলবার। কিন্তু নারী পুরুষের সম্পর্কে একবার ভাঙ্গন ধরলে সে ভাঙন সহজে জোড়া লাগে না। কমলেন্দু আদতে ছিল একটি লম্পট দুশ্চরিত্রও গোত্রের পুরুষ। তার এই চরিত্রগত দোষেই চাকরী গিয়েছিল তার, আর মঞ্জুশ্রী যে মুহূর্তে তার স্বামীর চরিত্রের এই দিকটি সম্মন্ধে জানতে পারলেন, সেই মুহুরতেই তিনি কমলেন্দুকে ত্যাগ করার সিধান্ত নিয়ে নিলেন। বিয়ের মাত্র দেড় বছরের মধ্যেই তিনি কমলেন্দুকে ডিভোর্স দিয়ে সব সম্পর্ক চুকিয়ে কোলের ছেলেকে নিয়ে তার এক দূরসম্পর্কের দাদা বৌদির বারিতে এসে আশ্রয় নিলেন। কিন্তু মঞ্জুশ্রী ছিল আশ্চর্য ধরনের শক্ত মেয়ে। কঠিন পরিস্থিতিতেও নিজেকে ঠিক রাখলেন তিনি। বাপের বাড়িতে আর ফিরে গেলেন না। বাকি পড়াশুনাটুকু শেষ করে দূর সম্পর্কের দাদার চেস্তায় একটা ছোটমোটো চাকরী যুগিয়ে নিয়ে ছেলেকে নিয়ে আলাদা ভাবে থাকতে শুরু করলেন। এরপর আর ফিরে তাকাননি মঞ্জুশ্রী। তখন তার একমাত্র ধ্যান গ্যান ছিল ছেলেকে মানুষ করে তোলা। নিজের ছোট্ট ছেলেকে আঁকরে ধরে সারা জীবন কঠোর স্ত্রাগেল করে তিনি আজ এ জায়গায় পৌঁছেছেন। আর সত্যি কথ বলতে কি, ভগবানও এবার তাকে বিমুখ করেনি। তিনি তার পরিশ্রমের যথা যথ ফল পেয়েছেন। ছেলে এখন একটি কলেজে পড়ছে। তিনি নিজে একটি বড় সরকারি ফার্মের সদ্য ম্যানেজার পদে উত্তীর্ণ হয়েছেন। নিজেদের বাড়ি, গাড়ি, চাকর বাকর সবই রয়েছে। আর কি চাই! কিন্তু একজন মানুষ হিসাবে, একজন নারী হিসাবে কি সত্যি সব কিছু পেয়েছেন? সব কামনা কি মিটেছে তাঁর? না কখনই না। কতবার কতো পুরুষ যুবতি মঞ্জুশ্রীর শরীরের দিকে লোলুপ দৃষ্টিতে তাকিয়ে অশ্লিল ইঙ্গিত দিয়েছে তাকে। অফিসের কতো সহকর্মী কু প্রস্তাব দিয়েছে তাকে এমনকি অনেকবার দ্বিতীয়ও বিবাহের প্রস্তাবও এসেছে তাঁর জীবনে। আর হবেনাই বা কেন, ২২ বছর বয়সী সদ্য ডিভোর্সি যুবতী মঞ্জুশ্রীর দেহে তখন ভরা যৌবন। কামনার আগুনে ফেটে পরচে তাঁর সমস্ত শরীর। এক ছেলের মা, মঞ্জুশ্রীর রাগ রসে ভরা লদলদে, শ্যামলা, শরীরটা তখন যে কোন পুরুষকে ঘায়েল করার পক্ষে যথেষ্ট। কিন্তু কঠোর হাতে তিনি এরিয়ে গিয়েছেন সেইসব প্রস্তাব বা ইচ্ছা। ইচ্ছা কি তারও হয়নি? হ্যা অনেকবার হয়েছে। মনে হয়েছে কি হবে এসব করে? কার জন্য এত আত্মত্যাগ। এখন তো তিনি স্বাধীন। ইচ্ছা করলেই তিনি তাঁর যৌবন জালে যে কোন পুরুষকে আবদ্ধ করে তাঁর পুরুসত্ত্বের স্বাদ নিতে পারে। কিন্তু পরক্ষনেই মনকে শক্ত করেছেন তিনি। ছেলেকে আঁকরে ধরে কাটিয়েছেন তিনি এতগুলো বছর। আর আজ তিনি নিজের পরিচয়ই জার একমাত্র পরিচয়। এই ভারি নামের পেছনে কোথায় চাপা পরে গিয়েছে যুবতী তন্বী মঞ্জুশ্রী। অফিসে তাঁর অধিনস্ত কর্মচারীরা তাদের এই ম্যাডামের গাম্ভীর্যপূর্ণ পারসোনালিটি কে রীতিমত ভয় পায়। পৌঢ়ত্তে পা দিয়েছেন তিনি। তবে এখনও কি কম সুন্দরী! রীতিমত পৌঢ়া সুন্দরী বলা যেতে পারে তাকে। শরীর এর গঠন হয়ত তেমন আগের মতন নেই, হয়ত মেদ জমে কয়েকটা ভাঁজ পরেছে তাঁর ফর্সা নিটোল পেটে, বড় বড় ও ভারী দুই স্তন যুগল হয়ত ঝুলে পরেছে কিছুটা বয়সের ছাপ পরায়, কিন্তু তবুও তাঁর ৫ ফুট ৫ ইঞ্চি দীর্ঘ, ৪২-৩৬-৪২ সমন্বিত এই মেদ বহুল ফিগার, তানপুরার মত তাঁর ভারী ও নরম থলথলে লদকা পাছা আর তাঁর সাথে তাঁর মায়ের থেকে পাওয়া এই হাঁটু পর্যন্ত লম্বা ঘন কালো চুলের বাহার যেকোনো পুরুষের শরীরে কামের আগুন জ্বালানোর পক্ষে যথেষ্ট। কিন্তু কি হবে এখন এসব ভেবে! মনে মনে হাসেন মঞ্জুশ্রী। এখনও কি সত্যি কোন পুরুষ তাঁর এই পৌঢ় শরীরটার দিকে আগের মত লোলুপ দৃষ্টি নিয়ে তাকায়? কে জানে...
প্রোমোশন লেটারটা হাতে নিয়ে মঞ্জুশ্রী দেবী মনে মনে এই সব কথাই ভাবছিলেন, এমন সম্নয় দারোয়ানের দাকে তাঁর হুশ এল
ম্যাডাম, বাড়ি যাবেন না? অনেক রাত হল...
ঘড়ি টা দেখেন মঞ্জুশ্রী দেবী। সত্যি তো অনেকটা সময় কেটে গিয়েছে এসব আবোল তাবোল ভাবতে ভাবতে...
হুম। ড্রাইভার কে বল গাড়িটা বের করতে।
প্রোমোশন লেটারটা হাতে নিয়ে মঞ্জুশ্রী দেবী মনে মনে এই সব কথাই ভাবছিলেন, এমন সম্নয় দারোয়ানের দাকে তাঁর হুশ এল
ম্যাডাম, বাড়ি যাবেন না? অনেক রাত হল...
ঘড়ি টা দেখেন মঞ্জুশ্রী দেবী। সত্যি তো অনেকটা সময় কেটে গিয়েছে এসব আবোল তাবোল ভাবতে ভাবতে...
হুম। ড্রাইভার কে বল গাড়িটা বের করতে।